সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানের পরিবারকে শেষ সাক্ষাতের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুফতি হান্নানের সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের সঙ্গে কারাগারে দেখা করার জন্য তার স্বজনদেরও বার্তা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সিলেট কারাগারে থাকা আরেক আসামি রিপনের পরিবার মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে রিপনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র জেল সুপার সগির মিয়া।
মুফতি হান্নানের বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তাই আমরা মুফতি হান্নানের পরিবারকে বলেছি তারা চাইলে শেষ দেখা করতে পারেন। তবে তারা এখনও আসেননি। কখন আসবেন তাও জানি না। তবে আজ তারা দেখা করতে পারবেন। ’ মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত কেউ দেখা করতে যায়নি বলে কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদনের খারিজের কপি এর আগে সোমবার কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়।
এর আগে সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ আপিলেও বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন মুফতি। তবে সেই আবেদন খারিজ কর দেন রাষ্ট্রপতি।
১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। ২২ মার্চ তাকে কারাগারে রায় পড়ে শোনানো হয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ২০১৩ সাল থেকে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তার দুই সহযোগীর একজন শরীফ শাহেদুল বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছে।
সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।